Posts

Showing posts from 2018

নীলদর্পণ নাটক

Image
         ♠নীলদর্পণ নাটক♠ বাংলার স্বাধীনতা সূয অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে। সময়কাল ১৮৬০ ইং। বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক। প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'। দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এবং লেখক By a native নাটকের ভূমিকায় নাট্যকারের নাম "কৎচিৎ পথিকস্য" নাটকটি ১৮৭২ সালে ই ডিসেম্বর National theatre এ প্রথম অভিনিত হয় । ♣জেনে রাখা ভালো, ******************************* ১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়। ২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত কোন বাংলা বইয়ের নামও "নীল দর্পন"। ৩। বিদেশী পত্রিকায় প্রথম কোন বাংলা বইয়ের উপর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার দাবিদারও এই বইটি। এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়ার পর এবং দেশ বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন ও

জাগরী রহস্য

Image
              #জাগরী_রহস্য ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলের ঠান্ডা মেঝেতে বসে ঘাড় গুঁজে একমনে কী যেন লিখে চলেছেন এক বন্দি। যে সে বন্দি নন, রাজবন্দি। জেলের ভেতরেও তিনি কড়া নজরদারিতে থাকেন। আগে একবার দলবল নিয়ে জেল ভেঙে পালাবার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। সেই স্মৃতি ঘাড়ের পাশে পুলিশের রুলের মোটা দাগ নিয়ে জেগে। কয়েক দিন আগেই তিনি জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁকে যেন কোনও একটি ‘টি সেলে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুনে সুপারিন্টেন্ডেন্টের মাথায় হাত! এই বন্দি বলে কি! টি সেলগুলোতে রাখা হয় খতরনাক বন্দিদের। ছোট্ট খুপরি, একা একা থাকা। আলো বাতাস ঢোকে না বললেই চলে। সেখানে কেউ সাধ করে ঢুকতে চায়? সুপারিন্টেন্ডেন্ট জিজ্ঞাসাই করে ফেললেন, ‘‘বলেন কী মশাই! ওখানে কেন?’’ বন্দির উত্তর, ‘‘একা থাকলে লেখাপড়ার কাজটা ভাল হয়।’’ ‘‘বেশ, ব্যবস্থা করছি তাহলে।’’ ব্যবস্থা হল। আর ওই টি-সেলে বসেই রুল টানা খাতায় লেড পেন্সিলে লেখা হল এক উপন্যাস, যার নাম জাগরী। লেখক ‘ভাদুড়ীজি’। সতীনাথ ভাদুড়ী। সময়টা ১৯৪২। গোটা ভারতবর্ষ তখন গাঁধীজির ভারত ছাড় আন্দোলনের জ্বরে কাঁপছে।  লেখক হিসেবে একেবারেই নতুন, কে পড়বে তার

আরণ্যক

Image
                 ♣আরণ্যক♣ বিভূতিভূষণের কাহিনীবয়নের পরিচিত গতির কিঞ্চিৎ বাইরে অবস্থান আরণ্যক-এর গল্পপ্রক্ষেপণ ও পরিবেশনশৈলী; অরণ্যরহস্য এবং অরণ্যবিনাশের কাহিনীর অন্তরালে বিপন্ন-অপরাধী শিল্পী যেন আঁকছেন সভ্যতার আগ্রাসনের ছবি। উপন্যাসে বিবৃত প্রকৃতিচরাচরের শান্ত-স্নিগ্ধতা বিপুল বিশ্বব্যাপী নাস্তির বিপরীতে মহাকালাশ্রয়ী চৈতন্যে দীক্ষার প্রান্তরে হাতছানি দিয়ে ডাকে; যে আহ্বান পার্থিব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চিন্তালোকের অন্ধকার থেকে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে শক্তি যোগায়। কথাশিল্পী বিভূতির জীবনদর্শন এবং শিল্পাদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে থাকে জগৎকে-জীবনকে দেখবার বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি। ১৭ মে ১৯৪৩ সালে লেখা তাঁরই ডায়েরি থেকে আমরা জানতে পারি । আরণ্যক উপন্যাসের পরিপ্রেক্ষিত, পরিসর-প্রাসঙ্গিকতা ও ধরন সম্বন্ধে লেখক কাহিনী আরম্ভের আগেই জানাচ্ছেন: ‘মানুষের বসতির পাশে কোথাও নিবিড় অরণ্য নাই। অরণ্য আছে দূর দেশে, যেখানে পতিত-পক্ব জম্বুফলের গন্ধে গোদাবরী-তীরের বাতাস ভারাক্রান্ত হইয়া ওঠে, ‘আরণ্যক’ সেই কল্পনালোকের বিবরণ। ইহা ভ্রমণবৃত্তান্ত বা ডায়েরি নহে- উপন্যাস। অভিধানে লেখে ‘উপন্যাস’ মানে বানানো গল

সাহিত্যে ও রচয়িতা

Image
#সাহিত্য_ও_রচয়িতা  া ১। পুতুল নাচের ইতিকথা- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ২। পথের পাঁচালি- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩। লোটা কম্বল- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ৪। পদ্মা নদীর মাঝি- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫। দিবারাত্রির কাব্য- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬। কবি- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭। আরন্যক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৮। চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৯। লালশালু- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১০। অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১১। শ্রীকান্ত -শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১২। চোখের বালি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩। গণদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪। আলালের ঘরের দুলাল- প্যারিচাঁদ মিত্র ১৫। হুতোম পেঁচার নকশা- কালী প্রসন্ন সিংহ ১৬। দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭। আরোগ্য নিকেতন- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮। গঙ্গা- সমরেশ বসু ১৯। মা- আনিসুল হক ২০। আট কুঠরি নয় দরজা- সমরেশ মজুমদার ২১। কড়ি দিয়ে কিনলাম- বিমল মিত্র ২২। উত্তরাধিকার- সমরেশ মজুমদার ২৩। কালবেলা- সমরেশ মজুমদার ২৪। কৃষ্ণকান্তের উইল- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৫। সাতকাহন- সমরেশ মজুমদার ২৬। গর্ভধারিণী - সমরেশ মজুমদার ২৭। পূর্ব-পশ্চিম- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

প্রমথ চৌধুরী বিষয়ে যে প্রশ্ন গুলো সব চেয়ে বেশি আসেঃ-

Image
প্রমথ চৌধুরী বিষয়ে যে প্রশ্ন গুলো সব চেয়ে বেশি আসেঃ- *******************************    ♣প্রমথ চৌধুরী♣ জন্ম : ১৮৬৯ খ্রি. মৃত্যু : ১৯৪৬ খ্রি. প্রশ্ন : প্রমথ চৌধুরী কবে, কোথায় জন্ম গ্রহণ করন? উত্তর : যশোরে (১৮৬৯-১৯৪৬)। প্রশ্ন : বীরবল কোন লেখকের ছদ্মনাম? উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর। প্রশ্ন : বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে? উত্তর : প্রমথ চৌধরী। প্রশ্ন : চলিত রীতিতে রচিত তাঁর গদ্য রচনা কোনটি? উত্তর : বীরবলের হালখাতা (১৯০২)। প্রশ্ন : তিনি কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন? উত্তর : সবুজপত্র (১৯১৪)। প্রশ্ন :তিনি প্রাচ্য সাহিত্যে খ্যাত কেন? উত্তর : ইটালীয় সনেটের বিশেষ প্রয়োগের কারণে। প্রশ্ন : তাঁর রচিত গল্প গ্রন্থগুলোর নাম কী? উত্তর : চার ইয়ারী কথা (১৯১৬); আহুতি; নীললোহিত ও গল্প সংগ্রহ। প্রশ্ন : তিনি আর কোন পত্রিকায় সম্পাদনা করেন? উত্তর : বিশ্ব ভারতী। প্রশ্ন : রবীন্দ্রনাথের সাথে তাঁর সর্ম্পক কী? উত্তর : রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিয়ে করেন প্রমথ চৌধরী। প্রশ্ন : ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? উত্তর : সবুজপত্র। প্রশ

প্রায় একই নামের বাংলা সাহিত্যকর্মসমূহ

Image
  প্রায় একই নামের বাংলা সাহিত্যকর্মসমূহ ******************************* ১]শেষ লেখা (কাব্য) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২]শেষ প্রশ্ন (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩]শেষের পরিচয় (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৪]শেষ বিকেলের মেয়ে (উপন্যাস)- জহির রায়হান ৫]শেষ পাণ্ডুলিপি (উপন্যাস) – বুদ্ধদেব বসু ৬]শেষের কবিতা (উপন্যাস) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭]শেষ সপ্তক – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১]দেনাপাওনা( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাধ ঠাকুর। ২]দেনাপাওনা(উপন্যাস): শরৎচন্দ্র ১]অন্নদামঙ্গল(কাব্য)- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর ২]সারদামঙ্গল(কাব্য)- বিহারীলাল চক্রবর্তী ৩]মনসামঙ্গল(কাব্য)- কানাহারি দত্ত ৪]কালিকামঙ্গল(কাব্য)- রাম প্রসাদ সেন ১]গীতাঞ্জলি (কাব্য)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২]গীতবিতান (সঙ্গীত গ্রন্থ)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩]গীতালি ( সঙ্গীত গ্রন্থ)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৪]গীতিগুচ্ছ (কাব্য)- সুকান্ত ভট্টাচার্য ১]মানচিত্র(কবিতা): অালাউদ্দিন অাল অাজাদ। ২]মানচিত্র(নাটক): অানিস চৌধুরী। ১]মৃত্যুক্ষুধা(উপন্যাস): নজরুল ২]জীবনক্ষুধা (উপন্যাস): অাবুল মনসুর অাহমেদ ১]জননী(উপন্যাস): মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২]জননী

বিভূতিভূষণের উৎসর্গীকৃত গ্রন্থ ও সাল

♣বিভূতিভূষণের উৎসর্গীকৃত গ্রন্থ ও সাল:- ******************************* 1)পথের পাঁচালী -(1955)পিতৃদেব- কে । 2)অপরাজিত -(1956) মাতৃদেবী-কে । 3)আরণ্যক -( 1939) গৌরীদেবী-কে । 4) চাঁদের পাহাড় -( 1937) খুকু - কে । 5) আদর্শ হিন্দু হোটেল - ( 1940) নুটুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় কে। 6)বিপিনের সংসার - ( 1941) চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় - কে । 7)দেবযান -( 1944) ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়-কে । 8)কেদার রাজা -( 1945)  নীরদরঞ্জন দাশগুপ্ত - কে । 9) ইছামতী - ( 1950) রমা বন্দ্যোপাধ্যায় - কে । তথ্য সূত্র :- 1) বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত - অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। 2) বাংলা উপন্যাসের কালান্তর - সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় । 3)বিভূতি প্রসঙ্গ - গৌতম মুখোপাধ্যায়  তথ্য সংগ্রহ বিশ্ব নাথ মাহাত সাকসেস বাংলা ##বিভূতিভূষণের সৃষ্ট উল্লেখযোগ্য চরিত্র সমূহ ******************************* *অপু, দুর্গা, সর্বজয়া, হরিহর, ইন্দির ঠাকরুণ ="পথের পাঁচালী" । *জিতু, সীতা = "দৃষ্টিপ্রদীপ" । * সত্যচরণ, ভানুমতী, মঞ্চী, কুন্তা, রাজু পাঁড়ে, গনোরি তেওয়ারী,দোবরু পান্না ="আরণ্যক

ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ গল্প পুরস্কার

♣ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ গল্প পুরস্কার♣ ******************************* ♠১৯৫৫-১৯৭০♠ ******************************* ১]মুখরাম শর্মা (১৯৫৫) ২]রাজিন্দর সিং বেদী (১৯৫৬) ৩]অমিয় চক্রবর্তী (১৯৫৭) ৪]আখতার মির্জা (১৯৫৮) ৫]মুখরাম শর্মা (১৯৫৯) ৬]সুবোধ ঘোষ (১৯৬০) ৭]রুবি সেন (১৯৬১) ৮]সি. ভি. শ্রীধর (১৯৬২) ৯]কে.পি. কোট্টারাকারা (১৯৬৩) ১০]জরাসন্ধ (১৯৬৪) ১১]বান ভট্ট (১৯৬৫) ১২]আখতার মির্জা (১৯৬৬) ১৪]আর. কে. নারায়ণ(১৯৬৭) ১৫]মনোজ কুমার (১৯৬৮) ১৬]শচীন ভৌমিক (১৯৬৯) ১৭]বসন্ত শঙ্কর কানেতকার (১৯৭০) ♠১৯৭১-১৯৯০♠ ******************************* ১]চন্দ্রকান্ত কাকোদকর (১৯৭১) ২]ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় (১৯৭২) ৩]বাসু ভট্টাচার্য্য (১৯৭৩) ৪]সেলিম-জাভেদ (১৯৭৪) ৫]কাইফি আজমি, ইসমাত চুঘতাই (১৯৭৫) ৬]সেলিম-জাভেদ (১৯৭৬) ৭]বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (১৯৭৭) ৮]শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৭৮) ৯]দীনেশ ঠাকুর (১৯৭৯) ১০]শঙ্কর শেষ (১৯৮০) ১১]বিজয় তেন্ডুলকর (১৯৮১) ১২]চেতন আনন্দ (১৯৮২) ১৩]সমরেশ বসু (১৯৮৩) ১৪]এস. ডি. পালোয়াকার (১৯৮৪) ১৫]মহেশ ভাট (১৯৮৫) ১৬]আলীম মাসরুর (১৯৮৬) ১৭]**পুরস্কার প্রদান করা হয়নি (

শঙ্খ ঘোষের সাল ও পুরস্কার

শঙ্খ ঘোষ(৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২):- ******************************* একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। তাঁর প্রকৃত নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ।   ♣সাল ও পুরস্কার:- ********************************** ♠১৯৭৭ খ্রিঃ "মূর্খ বড়, সামাজিক নয়" নরসিংহ দাস পুরস্কার। ♠১৯৭৭ খ্রিঃ "বাবরের প্রার্থনা" র জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার। ♠১৯৮৯ খ্রিঃ "ধুম লেগেছে হৃদকমলে" রবীন্দ্র পুরস্কার। ♠সরস্বতী পুরস্কার "গন্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ" ♠১৯৯৯ খ্রিঃ "রক্তকল্যাণ" অনুবাদের জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার। ♠১৯৯৯ খ্রিঃ বিশ্বভারতীর দ্বারা দেশিকোত্তম পুরস্কার ♠২০১১ খ্রিঃ ভারত সরকারের পদ্মভূষণ পুরস্কার। ♠২০১৬ খ্রিঃ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। তথ্য সংগ্রহ :- বিশ্ব নাথ মাহাত সাকসেস বাংলা

বিভূতিভূষণের ছোটোগল্পে শিক্ষক চরিত্রের বৈচিত্র্য :-

বিভূতিভূষণের ছোটোগল্পে শিক্ষক চরিত্রের বৈচিত্র্য :- **************************************************************************** ♣'অনুসন্ধান '  গল্পটি এক আদর্শ কাহিনী ।এই গল্পের আদর্শ শিক্ষকটির নাম নারায়ণ বাবু ।বিভূতিভূষণ এই শিক্ষকটির মধ্যে এক সত্যসন্ধ পুরুষ ও জ্ঞানতপস্বী মানুষকে পরম শ্রদ্ধায় প্রত্যক্ষ করেছেন । নারায়ণ বাবু ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে শিক্ষায় দৃষ্টি ও মনের প্রসারতাকে প্রধান ভূমিকা দেন  "নারায়ণবাবু বলেন জানালাগুলো খুলে দাও ,দেখো তো কেমন সুন্দর ।মাঠ গাছপালা ভগবানের তৈরী সুন্দর পৃথিবীকে চোখ ভরে দেখতে শেখো।শুধু বইয়ের পড়া পড়লে মানুষ হবে ।চোখের দৃষ্টি ফুটুক " শিক্ষার মনের উদারতা বৃহত্তর জীবনবোধ ও আনন্দলাভ নারায়ণ বাবুর আদর্শ স্বপ্ন ।তাই তিনি ছাত্রদের বলেন "মনের জানালাও সব সময় ঐ রকম খুলে রাখতে হবে ।দ্যাখো তো কেমন নীল আকাশ? চোখকে তৈরী করো বাইরের সৌন্দর্য দেখতে ।জীবনে মস্ত আনন্দ পাবে" মনের প্রসারেই যে শিক্ষার প্রকৃত বৈশিষ্ট্য, প্রানের বিকাশেই যে শিক্ষার মূলমন্ত্র নারায়ণ বাবু কথায় সেই সত্য উদগীত হয়ে উঠে। শিক্ষক রূপে নারায়ণ বাবু যেমন উদারমনা, মা

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ নিয়ে প্রাথমিক শ্রেনী বিভাগ:-

♣রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ নিয়ে প্রাথমিক শ্রেনী বিভাগ:-♣ ******************************* ক)সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ :- *******************************  এই প্রবন্ধগুলিতে রবীন্দ্রনাথ স্বদেশ ও বিদেশের সাহিত্য ও সাহিত্যিক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ।উনিশ শতকেই প্রকাশিত হয়েছিল *আলোচনা  (১৮৮৫) *সমালোচনা  (১৮৮৬) *আধুনিক সাহিত্য  (১৯৩৭) *প্রচীন সাহিত্য  (১৯০৭) *লোক সাহিত্য  (১৯০৭) খ)সাহিত্য তত্ত্ব বিষয়ক প্রবন্ধ :- ******************************* সমকালের সাহিত্য সমালোচনায় এবং সাহিত্য সম্পর্কিত ভাবনার প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য তত্ত্ব সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেন। তাঁর সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ *সাহিত্য  (১৯০৭) *সাহিত্যের পথে  (১৯৩৬) *সাহিত্যের স্বরূপ(১৯৪৩ মৃত্যু পরে প্রকাশিত ) গ)সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিমূলক প্রবন্ধ :- ******************************* ঔপনিবেশিক ভারতের অন্যতম মনীষী রূপে স্বদেশ, সমাজ এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চিন্তা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ উদাসীন থাকতে পারেনি। তাঁর এ জাতীয় প্রবন্ধ *আত্মশক্তি  (১৯০৫) *রাজা প্রজা  (১৯০৮) *সমাজ (১৯০৮) *কর্তার ইচ্ছায় কর্ম  (১৯১৭

কৃষ্ণকীর্তন ও রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী

♠কৃষ্ণকীর্তন ও রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী ♠ ***************************************** শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য গ্রন্থ। এটিই প্রথম বাংলায় রচিত কৃষ্ণকথা বিষয়ক কাব্য। মনে করা হয়, এই গ্রন্থের পথ ধরেই বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলির পথ সুগম হয়। রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী মানবীয়ভাবে উঠে এলেও, মূলত রাধা-কৃষ্ণকথার আড়ালে ঈশ্বরের প্রতি জীবকুলের মিলনের চরম আকুলতা প্রকাশিত হয়েছে এই কাব্যে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনটি। কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ি। কৃষ্ণ পরমাত্না বা ঈশ্বরের প্রতীক, রাধা জীবাত্না বা প্রাণিকুলের প্রতীক ও বড়ায়ি এই দুইয়ের সংযোগ সৃষ্টিকারী অনুঘটক। ♠ আবিষ্কার ও নামকরণঃ- চর্যাপদের পর ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা ভাষার দ্বিতীয় প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং পুথিশালার অধ্যক্ষ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় স

চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রশ্ন উত্তর

চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রশ্ন উত্তর ১)চণ্ডী মঙ্গলের কয়টি ভাগ?কিকি? উত্তর#দুইটি-আখেটিক খণ্ড।বনিক খণ্ড। ২)ভাড়ুদত্ত কে ছিলেন? উত্তর#চণ্ডীমঙ্গলের একজন খল চরিত্র। ৩)চণ্ডী মঙ্গলের আদি কবি কে?? উত্তর#মানিকদত্ত । ৪)কোন যুদ্ধে কালকেতু বন্দী হয়ে ছিলেন? উত্তর#কলিঙ্গরাজেরযুদ্ধে। ৫)ধনপতি কে ছিলেন? উত্তর#উজানীনগরের বিখ্যাত বনিক। ৬)চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? উত্তর#মুকুন্দরামচক্রবর্তী । ৭)দুজন অষ্টাদশ শতাব্দীর চণ্ডীমঙ্গলকবির নাম কী? উত্তর#মুক্তারামসেন,ভবানীশঙ্কর দাস। ৮)ধনপতির দুই স্ত্রীর নাম কি কি? উত্তর#লহনাও খুল্লরা। ৯)কমলেকামিনী দৃশ্য কোন খণ্ডে আছে? উত্তর#বণিকখণ্ডে। ১০)কমলেকামিনী দৃশ্য কতবার আছে? উত্তর#তিনবার। ১১)খুল্লরার গর্ভ জাত সন্তানের নাম কি? উত্তর#শ্রীমন্ত। ১২)ইশা খাঁ কে ছিলেন ?উত্তর#প্রসিদ্ধআফগান ভুঁইয়া। ১৩)মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কী ? উত্তর#অভয়ামঙ্গল। ১৪)শ্রীমন্তের বিয়ে কার সাথে হয়েছিল? উত্তর#সুশীলা। ১৫)দ্বিজ মাধব কোন মঙ্গলকাব্য ধারার কবি ? উত্তর#চণ্ডীমঙ্গল। ১৬)ষোড়শ শতাব্দীর চণ্ডীমঙ্গল কবির নাম কী? উত্তর #মানিক দত্ত,দ্বিজমাধব,মুকুন্

কারক ও বিভক্তি বাংলা ব্যাকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 👪👪 কারক ছয় প্রকার।

Image
👪 👪 কারক ও বিভক্তি বাংলা ব্যাকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  👪 👪 ♨ কারক ছয় প্রকার। ♨ ১।কর্তৃকারক:-যে  কাজ করে সেই কর্তা বা কর্তকারক। যেমন: 1)আমি ভাত খাই। 2)বালকেরা মাছে ফুটবল খেলছে। ✏ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা ‘কারা’দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে সেই কর্তা বা কর্তৃকারক। 📂 কে ভাত খায়? উত্তর হচ্ছে আমি 📂 কারা ফুটবল খেলছে ? উত্তর হচ্ছে-বালকেরা। 👉 তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে কর্তৃকারক। ২। কর্মকারক:-কর্তা  যে কাজ করে সেটাই কর্ম বা কর্মকারক। 📗 যেমন: আমি ভাত খাই। 📓 হাবিব সোহলকে মেরেছে। ✏ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কি’ বা ‘কাকে’দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে সেই কর্ম বা কর্মকারক। 📂 আমি কি খাই? উত্তর হচ্ছে-ভাত। 👉 হাবিব কাকে মেরেছে? উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে। ৩। করণ কারক:- ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা উপকরণ বুঝায়। 📗 নীরা কলম দিয়ে লেখে। 📓 সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়। ✏ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে সেই করণ কারক। 📂 নীরা কীসের দ্বারা লেখে? উত্তর হচ্ছে-কলম । 📂 কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যায়? উত্তর হচ্ছে-সাধনায়। ৪। সম্প্রদান কারক:- স্বত্ব ত্যাগ