Posts

Showing posts from September, 2018

বিভূতিভূষণের ছোটোগল্পে শিক্ষক চরিত্রের বৈচিত্র্য :-

বিভূতিভূষণের ছোটোগল্পে শিক্ষক চরিত্রের বৈচিত্র্য :- **************************************************************************** ♣'অনুসন্ধান '  গল্পটি এক আদর্শ কাহিনী ।এই গল্পের আদর্শ শিক্ষকটির নাম নারায়ণ বাবু ।বিভূতিভূষণ এই শিক্ষকটির মধ্যে এক সত্যসন্ধ পুরুষ ও জ্ঞানতপস্বী মানুষকে পরম শ্রদ্ধায় প্রত্যক্ষ করেছেন । নারায়ণ বাবু ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে শিক্ষায় দৃষ্টি ও মনের প্রসারতাকে প্রধান ভূমিকা দেন  "নারায়ণবাবু বলেন জানালাগুলো খুলে দাও ,দেখো তো কেমন সুন্দর ।মাঠ গাছপালা ভগবানের তৈরী সুন্দর পৃথিবীকে চোখ ভরে দেখতে শেখো।শুধু বইয়ের পড়া পড়লে মানুষ হবে ।চোখের দৃষ্টি ফুটুক " শিক্ষার মনের উদারতা বৃহত্তর জীবনবোধ ও আনন্দলাভ নারায়ণ বাবুর আদর্শ স্বপ্ন ।তাই তিনি ছাত্রদের বলেন "মনের জানালাও সব সময় ঐ রকম খুলে রাখতে হবে ।দ্যাখো তো কেমন নীল আকাশ? চোখকে তৈরী করো বাইরের সৌন্দর্য দেখতে ।জীবনে মস্ত আনন্দ পাবে" মনের প্রসারেই যে শিক্ষার প্রকৃত বৈশিষ্ট্য, প্রানের বিকাশেই যে শিক্ষার মূলমন্ত্র নারায়ণ বাবু কথায় সেই সত্য উদগীত হয়ে উঠে। শিক্ষক রূপে নারায়ণ বাবু যেমন উদারমনা, মা

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ নিয়ে প্রাথমিক শ্রেনী বিভাগ:-

♣রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ নিয়ে প্রাথমিক শ্রেনী বিভাগ:-♣ ******************************* ক)সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ :- *******************************  এই প্রবন্ধগুলিতে রবীন্দ্রনাথ স্বদেশ ও বিদেশের সাহিত্য ও সাহিত্যিক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ।উনিশ শতকেই প্রকাশিত হয়েছিল *আলোচনা  (১৮৮৫) *সমালোচনা  (১৮৮৬) *আধুনিক সাহিত্য  (১৯৩৭) *প্রচীন সাহিত্য  (১৯০৭) *লোক সাহিত্য  (১৯০৭) খ)সাহিত্য তত্ত্ব বিষয়ক প্রবন্ধ :- ******************************* সমকালের সাহিত্য সমালোচনায় এবং সাহিত্য সম্পর্কিত ভাবনার প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য তত্ত্ব সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেন। তাঁর সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ *সাহিত্য  (১৯০৭) *সাহিত্যের পথে  (১৯৩৬) *সাহিত্যের স্বরূপ(১৯৪৩ মৃত্যু পরে প্রকাশিত ) গ)সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিমূলক প্রবন্ধ :- ******************************* ঔপনিবেশিক ভারতের অন্যতম মনীষী রূপে স্বদেশ, সমাজ এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চিন্তা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ উদাসীন থাকতে পারেনি। তাঁর এ জাতীয় প্রবন্ধ *আত্মশক্তি  (১৯০৫) *রাজা প্রজা  (১৯০৮) *সমাজ (১৯০৮) *কর্তার ইচ্ছায় কর্ম  (১৯১৭

কৃষ্ণকীর্তন ও রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী

♠কৃষ্ণকীর্তন ও রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী ♠ ***************************************** শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য গ্রন্থ। এটিই প্রথম বাংলায় রচিত কৃষ্ণকথা বিষয়ক কাব্য। মনে করা হয়, এই গ্রন্থের পথ ধরেই বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলির পথ সুগম হয়। রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী মানবীয়ভাবে উঠে এলেও, মূলত রাধা-কৃষ্ণকথার আড়ালে ঈশ্বরের প্রতি জীবকুলের মিলনের চরম আকুলতা প্রকাশিত হয়েছে এই কাব্যে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনটি। কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ি। কৃষ্ণ পরমাত্না বা ঈশ্বরের প্রতীক, রাধা জীবাত্না বা প্রাণিকুলের প্রতীক ও বড়ায়ি এই দুইয়ের সংযোগ সৃষ্টিকারী অনুঘটক। ♠ আবিষ্কার ও নামকরণঃ- চর্যাপদের পর ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা ভাষার দ্বিতীয় প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং পুথিশালার অধ্যক্ষ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় স