Posts

Showing posts from December, 2018

নীলদর্পণ নাটক

Image
         ♠নীলদর্পণ নাটক♠ বাংলার স্বাধীনতা সূয অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে। সময়কাল ১৮৬০ ইং। বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক। প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'। দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এবং লেখক By a native নাটকের ভূমিকায় নাট্যকারের নাম "কৎচিৎ পথিকস্য" নাটকটি ১৮৭২ সালে ই ডিসেম্বর National theatre এ প্রথম অভিনিত হয় । ♣জেনে রাখা ভালো, ******************************* ১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়। ২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত কোন বাংলা বইয়ের নামও "নীল দর্পন"। ৩। বিদেশী পত্রিকায় প্রথম কোন বাংলা বইয়ের উপর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার দাবিদারও এই বইটি। এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়ার পর এবং দেশ বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন ও

জাগরী রহস্য

Image
              #জাগরী_রহস্য ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলের ঠান্ডা মেঝেতে বসে ঘাড় গুঁজে একমনে কী যেন লিখে চলেছেন এক বন্দি। যে সে বন্দি নন, রাজবন্দি। জেলের ভেতরেও তিনি কড়া নজরদারিতে থাকেন। আগে একবার দলবল নিয়ে জেল ভেঙে পালাবার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। সেই স্মৃতি ঘাড়ের পাশে পুলিশের রুলের মোটা দাগ নিয়ে জেগে। কয়েক দিন আগেই তিনি জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁকে যেন কোনও একটি ‘টি সেলে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুনে সুপারিন্টেন্ডেন্টের মাথায় হাত! এই বন্দি বলে কি! টি সেলগুলোতে রাখা হয় খতরনাক বন্দিদের। ছোট্ট খুপরি, একা একা থাকা। আলো বাতাস ঢোকে না বললেই চলে। সেখানে কেউ সাধ করে ঢুকতে চায়? সুপারিন্টেন্ডেন্ট জিজ্ঞাসাই করে ফেললেন, ‘‘বলেন কী মশাই! ওখানে কেন?’’ বন্দির উত্তর, ‘‘একা থাকলে লেখাপড়ার কাজটা ভাল হয়।’’ ‘‘বেশ, ব্যবস্থা করছি তাহলে।’’ ব্যবস্থা হল। আর ওই টি-সেলে বসেই রুল টানা খাতায় লেড পেন্সিলে লেখা হল এক উপন্যাস, যার নাম জাগরী। লেখক ‘ভাদুড়ীজি’। সতীনাথ ভাদুড়ী। সময়টা ১৯৪২। গোটা ভারতবর্ষ তখন গাঁধীজির ভারত ছাড় আন্দোলনের জ্বরে কাঁপছে।  লেখক হিসেবে একেবারেই নতুন, কে পড়বে তার

আরণ্যক

Image
                 ♣আরণ্যক♣ বিভূতিভূষণের কাহিনীবয়নের পরিচিত গতির কিঞ্চিৎ বাইরে অবস্থান আরণ্যক-এর গল্পপ্রক্ষেপণ ও পরিবেশনশৈলী; অরণ্যরহস্য এবং অরণ্যবিনাশের কাহিনীর অন্তরালে বিপন্ন-অপরাধী শিল্পী যেন আঁকছেন সভ্যতার আগ্রাসনের ছবি। উপন্যাসে বিবৃত প্রকৃতিচরাচরের শান্ত-স্নিগ্ধতা বিপুল বিশ্বব্যাপী নাস্তির বিপরীতে মহাকালাশ্রয়ী চৈতন্যে দীক্ষার প্রান্তরে হাতছানি দিয়ে ডাকে; যে আহ্বান পার্থিব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চিন্তালোকের অন্ধকার থেকে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে শক্তি যোগায়। কথাশিল্পী বিভূতির জীবনদর্শন এবং শিল্পাদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে থাকে জগৎকে-জীবনকে দেখবার বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি। ১৭ মে ১৯৪৩ সালে লেখা তাঁরই ডায়েরি থেকে আমরা জানতে পারি । আরণ্যক উপন্যাসের পরিপ্রেক্ষিত, পরিসর-প্রাসঙ্গিকতা ও ধরন সম্বন্ধে লেখক কাহিনী আরম্ভের আগেই জানাচ্ছেন: ‘মানুষের বসতির পাশে কোথাও নিবিড় অরণ্য নাই। অরণ্য আছে দূর দেশে, যেখানে পতিত-পক্ব জম্বুফলের গন্ধে গোদাবরী-তীরের বাতাস ভারাক্রান্ত হইয়া ওঠে, ‘আরণ্যক’ সেই কল্পনালোকের বিবরণ। ইহা ভ্রমণবৃত্তান্ত বা ডায়েরি নহে- উপন্যাস। অভিধানে লেখে ‘উপন্যাস’ মানে বানানো গল

সাহিত্যে ও রচয়িতা

Image
#সাহিত্য_ও_রচয়িতা  া ১। পুতুল নাচের ইতিকথা- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ২। পথের পাঁচালি- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩। লোটা কম্বল- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ৪। পদ্মা নদীর মাঝি- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫। দিবারাত্রির কাব্য- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬। কবি- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭। আরন্যক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৮। চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৯। লালশালু- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১০। অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১১। শ্রীকান্ত -শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১২। চোখের বালি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩। গণদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪। আলালের ঘরের দুলাল- প্যারিচাঁদ মিত্র ১৫। হুতোম পেঁচার নকশা- কালী প্রসন্ন সিংহ ১৬। দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭। আরোগ্য নিকেতন- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮। গঙ্গা- সমরেশ বসু ১৯। মা- আনিসুল হক ২০। আট কুঠরি নয় দরজা- সমরেশ মজুমদার ২১। কড়ি দিয়ে কিনলাম- বিমল মিত্র ২২। উত্তরাধিকার- সমরেশ মজুমদার ২৩। কালবেলা- সমরেশ মজুমদার ২৪। কৃষ্ণকান্তের উইল- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৫। সাতকাহন- সমরেশ মজুমদার ২৬। গর্ভধারিণী - সমরেশ মজুমদার ২৭। পূর্ব-পশ্চিম- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়