Posts

মনসা মঙ্গল বিজয় গুপ্ত

🆔মনসামঙ্গল  (নরখন্ড ১৪৮৪-৮৫) _____________________________ মনসামঙ্গল বা পদ্মাপু্রাণ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যেরমঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কাব্য। এই ধারার অপর দুই প্রধান কাব্য চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের তুলনায় মনসামঙ্গল প্রাচীনতর।এই কাব্যের আদি কবি কানাহরি দত্ত সম্ভবত ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ বা চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বর্তমান ছিলেন। অনুমিত হয়, মনসামঙ্গল কাব্যের উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অথবা বিহার অঞ্চলে। পরে পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গেও এই কাব্যের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "বাংলা দেশের নানা অঞ্চলে বহু মনসামঙ্গল কাব্য পাওয়া গিয়েছে, তন্মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কাব্যগুলি ‘মনসামঙ্গল’ ও পূর্ববঙ্গে প্রায়শই ‘পদ্মাপুরাণ’ নামে পরিচিত।" 🆔বিজয় গুপ্ত :- ____________ "রাজার পালনে প্রজা সুখে ভুঞ্জে নিত। মুল্লুক ফতেয়াবাদ বাঙ্গরোড়া-তক্সিম।। পশ্চিমে ঘাঘর নদী পূর্বে ঘণ্ডেশ্বর। মধ্যে ফুল্লশ্রী গ্রাম পণ্ডিত নগর।।" --- কাব্যের সূচনায় কবিকৃত এই আত্মকাহিনী থেকে জানা যায়, কবির নিবাস ছিল ফুল্লশ্রী গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশের বাখরগঞ্জ জ
🆔কবিতা ♣বিষ্ণু দে 📗স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন । ✔"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" (১৯৬৩/১৩৭০) ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে সাহিত্য পত্র পত্রিকা  বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ✏"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" হল বিষ্ণু দের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। আশাহীন যান্ত্রিক জীবনের ভয়ঙ্কর চিত্র পরিস্ফুট হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। আধুনিক জীবনকে কবির "নরক" বলে মনে হয়েছে --- 'বাঁচবার আশা নেই, বাঁচবার ভাষা নেই সেখানে মড়ক অবিরত সেখানে কান্নার সুর একঘেয়ে নির্জলা আকালে মরমে পশে না আর, সেখানে কান্নাই মৃত কারণ কারোর কোনো আশা নেই অথবা তা এত কম যে কোনো নিরাশা নেই। চৈতন্যে মড়ক।' ✏আমাদের জীবনের অতীত, বর্তমান, আর ভবিষ্যৎ নিয়েই হল "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ"। কবি তাঁর আত্মসত্তার অন্বেষণ করেছেন বারে বারে এই কাব্যে। গ্রিক পুরাণ কাহিনী বিবৃত হয়েছে "অয়রিডিকে" কবিতায়। কবি চন্ডীদাসকে স্মরণ করে লিখেছেন "নান্নুরে" কবিতা। কবি
বিদ্যাপতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর :- __________________________________ ১) কার অনুরোধে বিদ্যাপতি কাব্যচর্চা শুরু করেন? উঃ দেবসিংহ। ২)বিদ্যাপতি তার অধিকাংশ পদাবলী কোন রাজার রাজ সভায় থাকাকালীন রচনা করেন? উঃ শিবসিংহ। ৩) বিদ্যাপতির মেয়ের নাম কি? উঃ দুল্লহি/ দুলহা। ৪) বিদ্যাপতি ভারতীয় সাহিত্য ভান্ডারের কোন কোন গ্রন্থ থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন? উঃ গাথাসপ্তশতী, অমরুশতক, শৃঙ্গারতিলক, শৃঙ্গারশতক প্রভৃতি। ৫) বিদ্যাপতির পদে উল্লিখিত মুসলমান রাজার নাম কী? উঃ নুসরৎ শাহ। ৬) বিদ্যাপতির কোন সংস্কৃত  গ্রন্থের প্রভাব আজও বর্তমান? উঃ দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী। ৭) 'বিদ্যাপতিগোষ্ঠী'  এই বইটি কার লেখা? উঃ সুকুমার সেন। ৮) বিদ্যাপতি মিথিলার কোন রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন ? উঃ কামেশ্বর। ৯)বিদ্যাপতি কোন্ রানীর গুনমুগ্ধ ছিলেন ? উঃ লছিমা দেবীর । ১০)  বিদ্যাপতি কত জন রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পান? উঃ ৬ জন রাজা ও এক জন রানীর। মোট ৭ জনের। ১১) বিদ্যাপতির ভাষাকে বিকৃত মৈথিলী কে বলেন? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১২)  বিদ্যাপতিকে 'মৈথিল কোকিল' আখ্যায়িত করেন কে?  উঃ রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্

বিদ্যাপতি মৈথিল কোকিল

 বিদ্যাপতি  মৈথিল কোকিল' 🆔 নাম : বিদ্যাপতি   🏠পিতা : গণপতি ঠাকুর  🏠পিতামহ : জয় দত্ত 🎓কৌলিক উপাধি : ঠক্কর বা ঠাকুর 🏡জন্ম : বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগনার অন্তর্গত বিসফী গ্রামে। 🏪  নিবাস : মিথিলা  ✏আবির্ভাব :  চতুর্দশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে। ( ১৩৫৮/ ১৩৪৭/ ১৩৮০/ ১৩৯০ -  নানা মতান্তর রয়েছে) 👫  বিবাহ : দুটি, পত্নীদের নাম জানা যায় না।   👩কন্যা : দুলহা  👨 পুত্র : হরপতি,  নরপতি ও বাচ্যপতি  👱 পুত্রবধূ : চন্দ্রকলা   👳উপাসক : বিদ্যাপতি শৈব ছিলেন,কারো কারো মতে তিনি পঞ্চোপাসক (শৈব, গাণপত্য, বৈষ্ণব, শাক্ত, সৌর) ছিলেন।  🎓 উপাধি : মৈথিল কোকিল, কবি সার্বভৌম,  অভিনব জয়দেব।   ♣তিরোধান : গঙ্গাতটে । (১৪৪৮/ ১৪৫৬/ ১৪৬০ - মতান্তর রয়েছে)। মোটামুটি পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধের কিছু পর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।   ✏পৃষ্ঠপোষক রাজা ও তাঁদের রাজত্বকালে লিখিত রচনা : ✍️  কীর্তিসিংহ- 'কীর্তিলতা' ✍️  দেবসিংহ- 'ভূ-পরিক্রমা' ✍️  শিবসিংহ -' কীর্তিপতাকা' ✍️  পুরাদিত্য -' লিখনাবলী' ✍️  ভৈরবসিংহ -' দুর্গাভক্তি তরঙ্গীনি ' ✍️  নরসি

ভারতীয় পাশ্চাত্য কাব্য তত্ত্ব

Image
ভারতীয় পাশ্চাত্য কাব্য তত্ত্ব :- ____________________________ কয়েকটি পরিচিত কাব্যসংজ্ঞা দিয়ে আরম্ভ করা যাক। প্রথম দিকের আলংকারিকদের মধ্যে ১)অষ্টম শতকে :- ✏'বামন' তাঁর 'কাব্যলংকার'গ্রন্থে কাব্যের সংজ্ঞা নিরূপণ করেছেন: 💌 রীতিরাত্মা কাব্যস্য–কাব্যের আত্মা হল রীতি।’ ২)নবম শতকে :- ✏'আনন্দবর্ধন' তাঁর 'ধ্বন্যালোক'-এ বললেন: ‘ 💌কাব্যসাত্মা ধ্বনিঃ–কাব্যের আত্মা হল ধ্বনি। ৩)দশম শতকে:- ✏' কুন্তক 'তাঁর 'বক্রোক্তিজীবিত'-এ বলছেন: 💌 ‘বক্রোক্তিঃ কাব্যজীবিতম–বক্রোক্তিই কাব্যের প্রাণ।’ ৪) ওই যুগেরই (দশম শতকে ):- ✏ 'ক্ষেমেন্দ্র' তাঁর 'ঔচিতাবিচারচর্চা'গ্রন্থে বলছেন:  💌‘ঔচিত্যং রসসিদ্ধস্য স্থিরং কাব্যস্য জীবিতম—- রসসিদ্ধ কাব্যের স্থির প্রাণ হল ঔচিত্য।’ ৫) চতুর্দশ শতকে :- ✏'বিশ্বনাথ' তাঁর 'সাহিত্যাদর্পণ' গ্রন্থে বললেন: 💌 ‘বাক্যং রসাত্মকং কাব্যম–-রসাত্মক বাক্যই হল কাব্য।’ ৬) সপ্তদশ শতকে:- ✏তার অনেক পরে সপ্তদশ শতকে শেষ উল্লেখযোগ্য। ✏ আলংকারিক 'জগন্নাথ' তাঁর 'রসগঙ্গা

"তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা"

        "তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা"              মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। 1)তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'র সম্পাদক নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা কে নিয়েছিল? উত্তর :- মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। 2) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রথম সম্পাদক কে ? উত্তর :- অক্ষয়কুমার দত্ত। 3)' তত্ত্ববোধিনী সভা' প্রতিষ্ঠা কে করেন? উত্তর :- মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। 4)  তত্ত্ববোধিনী সভা' প্রতিষ্ঠা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? উত্তর :- ১৮৩৯ 5)কত  বছর পর 'তত্ত্ববোধিনী সভা'র মুখপত্র হিসাবে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ প্রকাশিত হয়? উত্তর :- চার বছর 6)কোন কোন  মূল আদর্শ তুলে ধরতেই পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয় ? উত্তর :- হিন্দুধর্মের পৌত্তলিক প্রথা, অবতার তত্ত্ব ও ভাবাবেগকে নিন্দা করে ব্রাহ্মধর্মের মূল আদর্শ তুলে ধরতেই পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। 7) 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'র সদ্য ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্তের প্রথমে পারিশ্রমিক ছিল কত টাকা? উত্তর :- ৩৯ টাকা 8) সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্তের  দক্ষ পরিচালনার জন্য তার বেতন কত বাড়িয়েছিল? উত্তর :- তা বেড়ে ৪৫ টাকা এবং পরে হয় ৬০ টাকা। 9) ফুলস্কেপ ক

প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের গল্পের বাইরের দিক :

Image
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের বাইরের দিক :- ____________________________ প্রভাতকুমার . মুখোপ্যাধ্যায় "শ্রেষ্ঠ গল্প" র ভূমিকা র লেখক কে? উত্তর :- জগদীশ ভট্টাচার্য কুড়ানো মেয়ে' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়? উত্তর :-ভারতী পত্রিকায় কুড়ানো মেয়ে  গল্পগ্রন্থের প্রকাশ কাল কত? উত্তর :- ১৩০৬ আষাঢ় সংখ্যায় । প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প কোনটি উত্তর :- কুড়ানো মেয়ে কুড়ানো মেয়ে' কোন গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত উত্তর :-  প্রথমে পত্রিকাতে প্রকাশিত হয় ।পরে নবকথা গল্প সংকলনে স্থান পায় ১৩০৬ কার্তিক সংখ্যায় । কুড়ানো মেয়ে ' গল্পে কার কোন নাটকের উল্লেখ রয়েছে ? উত্তর :- দীনবন্ধু মিত্রের বিয়ে পাগলা বুড়ো ____________________________ বিবাহের বিজ্ঞাপন কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়? উত্তর :- প্রবাসী বিবাহের বিঞ্জাপন গল্পের প্রকাশ কাল কত? উত্তর :- বৈশাখ ১৩১১ বিবাহের বিজ্ঞাপন কোন গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত? উত্তর :- দেশী ও বিলাতী বিবাহের বিজ্ঞাপন গল্পে কোন মাসের কথা উল্লেখ আছে? উত্তর :-বৈশাখ ' বিবাহের বিজ্ঞাপন ' গল্পে মোট কয়টি পরিচ্ছেদ আছে