🆔কবিতা
♣বিষ্ণু দে
📗স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন ।
✔"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" (১৯৬৩/১৩৭০)
১৩৬৫ বঙ্গাব্দে সাহিত্য পত্র পত্রিকা বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
✏"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" হল বিষ্ণু দের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। আশাহীন যান্ত্রিক জীবনের ভয়ঙ্কর চিত্র পরিস্ফুট হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। আধুনিক জীবনকে কবির "নরক" বলে মনে হয়েছে ---
'বাঁচবার আশা নেই, বাঁচবার ভাষা নেই
সেখানে মড়ক অবিরত
সেখানে কান্নার সুর একঘেয়ে নির্জলা আকালে
মরমে পশে না আর, সেখানে কান্নাই মৃত
কারণ কারোর কোনো আশা নেই
অথবা তা এত কম যে কোনো নিরাশা নেই।
চৈতন্যে মড়ক।'
✏আমাদের জীবনের অতীত, বর্তমান, আর ভবিষ্যৎ নিয়েই হল "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ"। কবি তাঁর আত্মসত্তার অন্বেষণ করেছেন বারে বারে এই কাব্যে। গ্রিক পুরাণ কাহিনী বিবৃত হয়েছে "অয়রিডিকে" কবিতায়। কবি চন্ডীদাসকে স্মরণ করে লিখেছেন "নান্নুরে" কবিতা। কবি চন্ডীদাসের রাধিকা মানবী না দেবী, এই নিয়ে যা আলোচনা চলছে, তা দেখে কবি বিদ্রুপ করে বলেছেন, ---
'পদাবলী কেঁদে মরে, রাধা ভোলে আপন কান্নুরে
প্রেম ভয়ে দেশ ছাড়া, ভুলে যায় প্রেমের ইতিহাস।'
✏এই কাব্যেও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রত্যক্ষ প্রেরণাদাত্রী হিসাবে গ্রহণ করেছেন, ---
'সমুদ্রে পাহাড় বেঁধে সাজাবে না বাংলার আঙিনা?
শতাব্দীর সূর্যে এসো অভীপ্সার তীব্র মেঘে তুমি।'
✏কবি ঘোষণা করেছেন, ---
'কৌনিকে নয়, বৃত্তের পরিপূর্ণে
শিল্পের শেষ শান্তি।
সেই শান্তি আছে প্রেমের জগতে।' (''কৌনিকে নয়")
✏"প্রথম কদম ফুল" কবিতায় কবি বলেছেন, ---
'নটরাজ বুঝি নামল নীলিম শুরু
বাহুর ভঙ্গে গৌরীর বর অঙ্গে।'
✏কবি বর্তমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে স্মৃতির জগৎ, অর্থাৎ অতীত জগৎ ও ভবিষ্যৎ জগতকে অন্বেষণ করেছেন এই কাব্যগ্রন্থের আর একটি বিখ্যাত কবিতা হল "দামিনী", যেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রকে নতুনভাবে ব্যাখা করেছেন।
তথ্য সূত্র :-
আধুনিক বাংলা কবিতা দিক থেকে দিগন্তরে।
তথ্য সংগ্রহ :-
বিশ্ব নাথ মাহাত
বাংলা আলোচক
♣বিষ্ণু দে
📗স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন ।
✔"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" (১৯৬৩/১৩৭০)
১৩৬৫ বঙ্গাব্দে সাহিত্য পত্র পত্রিকা বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
✏"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" হল বিষ্ণু দের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। আশাহীন যান্ত্রিক জীবনের ভয়ঙ্কর চিত্র পরিস্ফুট হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। আধুনিক জীবনকে কবির "নরক" বলে মনে হয়েছে ---
'বাঁচবার আশা নেই, বাঁচবার ভাষা নেই
সেখানে মড়ক অবিরত
সেখানে কান্নার সুর একঘেয়ে নির্জলা আকালে
মরমে পশে না আর, সেখানে কান্নাই মৃত
কারণ কারোর কোনো আশা নেই
অথবা তা এত কম যে কোনো নিরাশা নেই।
চৈতন্যে মড়ক।'
✏আমাদের জীবনের অতীত, বর্তমান, আর ভবিষ্যৎ নিয়েই হল "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ"। কবি তাঁর আত্মসত্তার অন্বেষণ করেছেন বারে বারে এই কাব্যে। গ্রিক পুরাণ কাহিনী বিবৃত হয়েছে "অয়রিডিকে" কবিতায়। কবি চন্ডীদাসকে স্মরণ করে লিখেছেন "নান্নুরে" কবিতা। কবি চন্ডীদাসের রাধিকা মানবী না দেবী, এই নিয়ে যা আলোচনা চলছে, তা দেখে কবি বিদ্রুপ করে বলেছেন, ---
'পদাবলী কেঁদে মরে, রাধা ভোলে আপন কান্নুরে
প্রেম ভয়ে দেশ ছাড়া, ভুলে যায় প্রেমের ইতিহাস।'
✏এই কাব্যেও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রত্যক্ষ প্রেরণাদাত্রী হিসাবে গ্রহণ করেছেন, ---
'সমুদ্রে পাহাড় বেঁধে সাজাবে না বাংলার আঙিনা?
শতাব্দীর সূর্যে এসো অভীপ্সার তীব্র মেঘে তুমি।'
✏কবি ঘোষণা করেছেন, ---
'কৌনিকে নয়, বৃত্তের পরিপূর্ণে
শিল্পের শেষ শান্তি।
সেই শান্তি আছে প্রেমের জগতে।' (''কৌনিকে নয়")
✏"প্রথম কদম ফুল" কবিতায় কবি বলেছেন, ---
'নটরাজ বুঝি নামল নীলিম শুরু
বাহুর ভঙ্গে গৌরীর বর অঙ্গে।'
✏কবি বর্তমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে স্মৃতির জগৎ, অর্থাৎ অতীত জগৎ ও ভবিষ্যৎ জগতকে অন্বেষণ করেছেন এই কাব্যগ্রন্থের আর একটি বিখ্যাত কবিতা হল "দামিনী", যেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রকে নতুনভাবে ব্যাখা করেছেন।
তথ্য সূত্র :-
আধুনিক বাংলা কবিতা দিক থেকে দিগন্তরে।
তথ্য সংগ্রহ :-
বিশ্ব নাথ মাহাত
বাংলা আলোচক
Comments
Post a Comment